৮৬ কোটি টাকা লাভসহ বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করল রবি
৩১ অক্টোবর ২০২১ ২১:৫৯
ঢাকা: ৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকা কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) নিয়ে বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বর্তমানে অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৩০ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯২ লাখ, যা রবি’র মোট গ্রাহকের ৭৪ শতাংশ।
রোববার (৩১ অক্টোবর) ডিজিটাল সাংবাদিক সম্মেলনে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল ঘোষণার সময় রবি এসব তথ্য জানিয়েছে।
রবি জানায়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির পিএটি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৯ মাসে রবি’র পিএটি বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ। স্থিতিশীল ঊর্ধ্বগামী রাজস্ব এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বছরের প্রথম ৯ মাসে অপারেটরটির পিএটি পৌঁছেছে ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকায়।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা তৃতীয় প্রান্তিকে বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৫১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। মোট ৫ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে। এছাড়া অপারেটরটির ৭৪ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যা এ খাতে সর্বোচ্চ।
২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র মোট গ্রাহক দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র রাজস্ব আয় ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) রবি’র রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৭ কোটি টাকায়।
কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র অ্যাক্টিং সিইও অ্যান্ড সিএফও এম রিয়াজ রশীদ বলেন, এই বছরের প্রতি প্রান্তিকেই আমাদের মুনাফা ক্রমাগত বাড়ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। তবে এটা খুবই হতাশাজনক যে প্রথম ৯ মাসে আমাদের কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা হতে পারত, যদি ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর আমাদের ওপর আরোপ করা না হতো। ফলে আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর