জবিতে ৬ দিনে করোনার ভ্যাকসিন পেলেন ১৯৬০ জন
৩১ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৫৮
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে ছয় দিনে ১ হাজার ৯৬০ জনকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়া শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনও এই কেন্দ্রেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিনে ১০৫ জন, দ্বিতীয় দিনে ২৮০ জন, তৃতীয় দিনে ৩৫০ জন, চতুর্থ দিনে ৩৯৫ জন এবং পঞ্চম দিনে ৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এরপর শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় এক দিন বাড়ানো হয়। আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) ষষ্ঠ ও শেষ দিনে ৩৩০ জনসহ মোট ১ হাজার ৯৬০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন এই সেন্টারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই ভ্যাকসিন সেন্টারে পাঁচ দিন ভ্যাকসিন প্রয়োগের কথা ছিল। সেই পাঁচ দিনে আমরা মোট ১ হাজার ৬৩০ জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছিলাম। এরপর দেখি আরও অনেক শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিতে চায়। সে কারণে একদিন সময় বাড়ানো হয়েছিল।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক আরও বলেন, যাদের এনআইডি ছিল তারা কেন্দ্রে এসে স্পট রেজিস্ট্রেশন করেই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে পেরেছেন। অনেক শিক্ষার্থী বাইরে থেকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। ভ্যাকসিনের জন্য দ্রুত এনআইডি পেতে ক্যাম্পাসেই আবেদন কেন্দ্র স্থাপন করেছিলাম। সেখানেও অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের বিষয়ে ড. আইনুল বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাসেই প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় ডোজও এখানেই দেওয়া হবে। আমরা আবার কেন্দ্র স্থাপন করব। আর যারা এখন এনআইডি রেজিস্ট্রেশন করেছে, তারা সেই সময়ে এনআইডি পেয়ে গেলে তারাও এখান থেকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদের দ্বিতীয় ডোজ বাইরের কোনো কেন্দ্র থেকে নিতে হবে।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের দিনে করোনা ভ্যাকসিন সেন্টারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এরপর ২৫ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। এই সেন্টারে চীনের তৈরি সিনোফার্মের (ভেরোসেল) টিকা দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর