প্রথম দিনে ভ্যাকসিন পেল ২ হাজার শিক্ষার্থী
১ নভেম্বর ২০২১ ২২:৩১
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে প্রথম দিনে ভ্যাকসিন পেয়েছে দুই হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১ নভেম্বর) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে দুই হাজার শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার আটটি স্কুলে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১০টি বুথের প্রতিটিতে ২০০ জন করে ভ্যাকসিন পাবে।’
এদিন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে আটটি স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজার করে ৪০ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের প্রয়োগের উপযোগী ৬০ লাখ ভ্যাকসিন আমাদের হাতে আছে। এর মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন আমরা দেব।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগে রাজধানীর আটটি কেন্দ্র ও সারাদেশে আপাতত ২১টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে, আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থাও আছে।’
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে যে কাজ করছে তা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. দীপু মনি।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকায় সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন নিল তাহসান
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলমসহ অন্যরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ রয়েছে সেগুলোকেই কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে অধিদফতর। কারণ ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এক্ষেত্রে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য দরকার থার্মাল শিপিং কন্টেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ৭০ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী নভেম্বরে আরও ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে আসার সম্ভাবনা আছে।
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার চারটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বয়সী ১২০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সারাবাংলা/এসবি/এমও