Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অক্টোবরে ৫২ শিশু-কিশোরীসহ ধর্ষণের শিকার ৭৭

সারাবাংলা ডেস্ক
১ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৩৫

অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৫২টি শিশু-কিশোরীসহ ৭৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৪টি, গণধর্ষণ ১৮টি, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা তিনটি। এই মাসে সাতটি প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে নারী ও শিশু নিযৃাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩৪৬টি।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত তথ্যের বরাত দিয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সোমবার (১ নভেম্বর) সংগঠনটি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে অক্টোবর মাসে ধর্ষণের শিকার ৭৭ জনের মধ্যে ৫২টিই শিশু ও কিশোরী। অন্যদিকে গণধর্ষণ এবং ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার শিকার সাতটি শিশু ও কিশোরী। এই মাসে ২৬টি ধর্ষণের চেষ্টা, ১৯টি যৌন হয়রানি ও ৪১টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, একই সময়ে ২১টি কিশোরীসহ মোট ৮৩ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন, যা গত মাসের তুলনায় ১৯ জন বেশি। অন্যদিকে অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ১টি কিশোরী। অপহরণের শিকার হয়েছে ১টি শিশু ও তিনটি কিশোরী। অন্যদিকে শিশু, কিশোরী ও নারী মিলিয়ে ৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন বলছে, গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত ইত্যাদি কারণে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

এর বাইরে অক্টোবর মাসে দুইটি ধর্ষণের ঘটনা সালিস-আপসে মীমাংসা করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আইনি সহায়তা নিতে না দিয়ে দুই ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের বিচার করেছেন। আরেকটি ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় সালিস বৈঠক বসে ৮০ হাজার টাকায় এক নারীর ধর্ষণের অভিযোগ রফা করা হয়েছে। যদিও পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করা হলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন

এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসে চারটি মৃত ও একটি জীবিত নবজাতককে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ শিশুদের কী কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরূপণের চেষ্টা করছে না।

এমএসএফ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, অক্টোবর মাসে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা যেমন— ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতই অব্যাহত রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশে ধর্ষণ, শিশু ও নারীদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা যে হারে ঘটে চলেছে তাতে করে সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব, বিশেষ করে সমাজে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে।

নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতারোধে দেশে যথেষ্ট কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্যণীয় নয় বলে মনে করছে এমএসএফ। বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা এবং অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে বলে মন্তব্য সংগঠনটির।

সারাবাংলা/টিআর

এমএসএফ কিশোরী ধর্ষণ গণধর্ষণ ধর্ষণ ধর্ষণ ও হত্যা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন শিশু ধর্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর