চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআইসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫২
ঢাকা: সাভার থানার ভাকুর্তা ইউনিয়নের বিট ইনচার্জ এসআই শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মারধর, চাঁদা দাবি ও চুরির অভিযোগে এক নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই নারীর নাম রাফিয়া আক্তার তুলি।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে মামলাটি আবেদনটি জমা দেন বাদী।
এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন- আওলাদ হোসেন খান, মো. আলাউদ্দিন, মনোয়ারা বেগম, তার দুই ছেলে আমান উল্লাহ ও জামাল হোসেন।
বাদীর অভিযোগে বলা হয়, রাফিয়া আক্তার তুলি এবং তার স্বামী আফজাল হোসেন সরকার নালিশি সম্পত্তিসহ ১৭৭ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে মালিক ও দখলদার হন। এরপর ওই সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য নূরনবী আলী ও ইউনুছ আলী হাওলাদার নামে দুইজনকে কেয়ারটেকার হিসেবে নিযুক্ত করেন। তারা তাদের বাড়ী দেখভাল ও বসবাস করে আসছিলেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামি আওলাদ হোসেন খানসহ অন্যান্য আসামিরা তুলির বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিলে আসামিরা কেয়ারটেকার ইউনুছ আলী হাওলাদারকে মারধর করে। এ ঘটনায় ইউনুছ আলী রাতেই সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই শাহ আলমকে। ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভার থানার ভাকুর্তা ইউনিয়নের বিট ইনচার্জ এসআই শাহ আলম ও দুইজন কনস্টেবলের উপস্থিতেতে আওলাদ হোসেন এবং আলাউদ্দিন কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর এসআই শাহআলম ভুক্তভোগীকে বলেন, বাড়ীর মালিক রাফিয়া আক্তারকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ভাকুর্তা বিট অফিসে দেখা করতে।
২৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুলির শুভাকাঙ্ক্ষী জাকির হোসেন ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে গেলে এসআই শাহ আলম তাকে ওই সময় হাতকড়া পরায়। এরপর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর এসআই শাহআলম কেয়ারটেকারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে করে রাফিয়া আক্তার তুলি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস