রেনং সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান
২ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩৬
ঢাকা: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রেনং সমুদ্র বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সঙ্গে ঢাকা চেম্বারে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে ডিসিসিআই সভাপতি এ আহ্বান জানান। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিসিসিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮৩ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে আমদানি ও রফতানির পারিমাণ ছিল যথাক্রমে প্রায় ৮০ কোটি ডলার ও সাড়ে ৩ কোটি ডলার। ২০২১ সালে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রফতানি ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা বাংলাদেশের রফতানি খাতের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বিবেচনায় থাইল্যান্ড ১৫তম অবস্থানে রয়েছে। তবে অবকাঠামো, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি খাতে থাই উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করা উচিত।
থাইল্যান্ডের শ্রমঘন শিল্পগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পিটিএ ও এফটিএ সইয়ের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দুই পক্ষকেই আরও উদ্যোগী হতে হবে। ভারত-থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ত্রিপাক্ষিক আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি জানান, আগামী বছর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশে থাই দূতাবাস ‘রোড শো’ এবং বাণিজ্য মেলার আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।
ডিসিসিআই সহসভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ থাই দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
ডিসিসিআই সভাপতি থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমো রিজওয়ান রাহমান