Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা: কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৩

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও সাম্প্রদায়িক শক্তি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির ছাতার তলে আশ্রয় নিয়ে এরা আজকে আস্ফালন করছে, ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষের চারা জিয়াউর রহমান বপন করেছিলেন, সেই বিষবৃক্ষ এখন ডালপালা বিস্তার করে ফেলেছে। এই বিষবৃক্ষকে উৎখাটন করতে হবে, জেলহত্যা দিবসে সেটাই হবে আমাদের শপথ।

ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ৩রা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনীদেরকে নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে জিয়াউর রহমান। বিদেশি দূতাবাসে তাদের চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমান জড়িত নন অস্বীকার করতে পারবেন?

তিনি আরও বলেন, নেপথ্যের নায়ক খন্দকার খন্দকার মোশতাক অর্ডিন্যান্স জারি করল খুনীদের বিচার হবে না। সেই অর্ডিন্যান্সকে জিয়াউর রহমান বৈধতা দিয়েছিল পবিত্র সংবিধানে। ইতিহাসের এই সত্যকে মির্জা ফখরুল সাহেব অস্বীকার করতে পারবেন না। এই দলিলকে গায়ের জোরে বিকৃত করতে পারবেন না। হত্যাকারীদের যে পুরষ্কৃত করে আশ্রয় দেন তারা একই অপরাধে অপরাধী।

১৫ আগস্টের খুনিরা আর জিয়াউর রহমান একই অপরাধে অপরাধী মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের এই সত্যকে আজকে এড়িয়ে যাচ্ছেন আপনারা। বলুন তিনি যদি হত্যাকারী না হয় তাহলে হত্যাকারীদের বিচার হবে না এই আইন কেন সংবিধানে বৈধতা দিলেন। জিয়াউর রহমানের পক্ষে বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, অনেক যুক্তি আপনারা প্রদর্শন করেন। কিন্তু তিনি কি আসলেই মুক্তিযোদ্ধা! বাইচান্স অর মুক্তিযোদ্ধা বাই এক্সিডেন্ট। ইতিহাসের এ সত্যকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল নয়। এই দল মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধার দল। এই দল গণতন্ত্রের দল নয়, এই দল বর্ণচোরা গণতন্ত্রের দল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ৩রা নভেম্বর থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। সশস্ত্র বাহিনীর অনেক অফিসারকে কারাগারের মধ্যে দিনেরাতে হত্যা করা হয়েছে। অনেক রহস্য, ইতিহাসের অনেক অজানা সত্য এই ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে।সেই সত্য উন্মোচন করার দিন এসেছে। নতুন প্রজন্ম সেই ইতিহাস জানতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সময় মত সংবিধান অনুযায়ী হবে। সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না, নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি এলো কি এলো না, সেটার উপর নির্বাচন নির্ভর করে না।

তিনি আরও বলেন, এখন বড় গলায় কথা বলছেন। এই নির্বাচনে অংশ নেব না, সংলাপেও যাব না। আপনাদের কে ডেকেছে সংলাপে? শেখ হাসিনা গতবার সংলাপ ডেকেছিল সেটার আপনারা কি জবাবটা দিয়েছেন? সেই সংলাপের পর আপনাদের ভূমিকা কি ছিল? আপনাদেরকে কেউ সংলাপে ডাকছে না। নিজেরাই আগ বাড়িয়ে সংলাপের কথা বললেন। ফখরুল সাহেব আপনাকে পরিষ্কার বলে দিতে চাই, যতই হাঁকডাক করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশে জাদুঘরে চলে গেছে। জাদুঘর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে।

কাদের বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, এই তারেক রহমান বাইরে কেন আছে? রাজনীতি আর করব না এই মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গেছে। এখন রাজনীতি করছে, টেমস নদীর পার থেকে,ভিডিও কনফারেন্কেস করে রাজনীতি করছে।শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সৎ সাহস থাকলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে রাজনীতি করুক। সাহস নেই, আসতে পারবেন না। কাজেই ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখে লাভ নাই।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির। সভা পরিচালনা করেন উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান, পরে বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতারা।

সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ

আওয়ামী লীগ কাদের

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর