জাতির পিতা যা বলেছেন তা ই আমাদের জন্য আইন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০৩
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, জাতির পিতা আমাদের জন্য যা যা বলেছেন তা ই আমাদের জন্য আইন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যা যা করতে বলবেন তাই আমাদের জন্য আইন ও অবশ্য পালনীয়।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ওয়াশিংটন ডি.সি. কর্তৃক আয়াজিত “ইমপর্টেন্ট অব পাবলিক ডিপ্লোমেসি” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি ।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের কন্ঠ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কথা উচ্চারণ করতে হবে, এটাই আমাদের দায়িত্ব। আমাদের কণ্ঠে যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা ও চিন্তার বহিঃপ্রকাশ হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত যেকোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ বিষয়ে আমাদের মনে যেন কোন প্রশ্ন না থাকে। কারণ উনি আমাদের চেয়ে সব বিষয়ে বেশি জানেন এবং বেশি ভেবেই সিদ্ধান্ত দেন ও নির্দেশনা দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতি বিষয়ে আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে মানি লন্ডারিং বিষয়ে। কোনোভাবেই মানি লন্ডারিং বা টাকা পাচার হতে দেওয়া যাবে না।
অতি সাম্প্রতিক বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও ঘৃণিত সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য খুব লজ্জার একটা বিষয়। ৭১ সালে পরাজিত শক্তির বংশধরেরা এখনও সক্রিয়, তাদের ষড়যন্ত্র এখনও চলমান। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় এই হামলা ও অগ্নিসংযোগ পরিচালিত হয়েছে। যা কোনো মতেই কাম্য নয়।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে থাকতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বলে পরিচিত হতে দিতে পারি না। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধ করতে হলে একটাই সমাধান রয়েছে আমাদের কাছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত ১৯৭২ সালের সংবিধান। যে সংবিধানের মূলনীতি ছিল চারটি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাম্বাসেডর ড. শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পলিটিক্যাল মিনিস্টার বিগ্রেডিয়ার হাবিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এসএসএ