‘জাতীয় ৪ নেতা হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে’
৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২২
ঢাকা: কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই দিনটি জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্ট, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা। এই ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীর বিচার হয়েছে, এদেরও হবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘জেলখানা পৃথিবীর সব থেকে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কীভাবে আইন ভঙ্গ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের আমরা খুঁজছি। পলাতক আসামিদের ধরতে পারলে তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেল হত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছি।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, তার বাবাকে ১৯৭৭ সালে হত্যা করা হয়েছে এই কারাগার। তার বিচার আজও পাননি। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে সেনা বিদ্রোহের নামে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সন্তান, স্ত্রী আত্মীয়-স্বজন জানেন না মৃতদেহ কোথায়? ওই বছর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জেলখানায় এসে আজ বিচারের দাবি জানাচ্ছে।’
জাতীয় চার নেতার জাদুঘরে উপস্থিত হয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘জাতীয় চার নেতার খুনিদের শাস্তি চাওয়ার পাশাপাশি এই নেতাদের জীবনীগুলো নতুনভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে যদি তুলে ধরতে পারতাম, তাহলে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হতো।’
কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বাদ পড়লেও ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আপিল বিভাগ দফাদার মারফত আলী শাহ ও এল ডি দফাদার আবুল হাসেম মৃধার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম