ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২৮
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও ঢাবি শিক্ষক আয়েশা মাহমুদাকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া এবং আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় এ রুল জারি করেন আদালত।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ঢাবি অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে আদালতের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে আইনজীবী আছরারুল হক জানান, ২০০৬ সালের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সময় পদোন্নতি বঞ্চিত ওই বিভাগের এক শিক্ষক আয়েশা মাহমুদ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।
এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে, আয়েশা মাহমুদকে জ্যেষ্ঠতাসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অপর তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েশা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না। এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েশা মাহমুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
আছরারুল হক বলেন, ‘আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ টেকনিক্যালি আয়েশা মাহমুদকে জ্যেষ্ঠতা হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠতা হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। এ কারণে আয়েশা মাহমুদ আদালতে রিট দায়ের করেন।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম