‘দলে আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে’
৩ নভেম্বর ২০২১ ২০:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দলের ভেতরে আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, আদর্শের রাজনীতির মৃত্যু নেই। আমরা যারা এখন আওয়ামী লীগ করি, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার আদর্শের অনুসারী। আমরা এখন বুঝতে পারছি, এই দলে সুযোগসন্ধানীরা ভিড়েছে। দলের আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কোনো ব্যক্তি-মহলের অনুপ্রবেশে যেকোনো মূল্যে বাধা দিতে হবে। ভুল তথ্য দিয়ে কেউ যাতে দলে স্থান না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে তবে।’
‘বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় এদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। তিনি টের পেয়ে ষড়যন্ত্র নির্মূলে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন। তখনই তাকে ষড়যন্ত্রকারীরা সপরিবারে হত্যা করে। এরপর থেকে এদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন একে একে বিসর্জন দিয়ে এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করা হয়। তবে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে’– বলেন আ জ ম নাছির।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ও বাংলাদেশের মূলধারার চার সৈনিক ছিলেন জাতীয় চার নেতা। আমরা জাতির পিতার সৈনিক, চার জাতীয় নেতার আদর্শ আমাদের হৃদয়ে। একাত্তরের পর দেশে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধু এবং চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। একই শক্তি দেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। দেশে লাখ-লাখ টন ভোগ্যপণ্য মজুদ আছে, তবুও দাম বাড়ছে কেন? একটি মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে রুদ্ধ করে দিতে চায়।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, জহুর আহমদ, আবু তাহের, জহরলাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ
এদিকে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়েছে। কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন- কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ইলিয়াস হোসেন, শিক্ষক আবুল বাশার।
সভায় বক্তারা বলেন, খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে পাকিস্তানি ভাবধারার অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর চার জাতীয় নেতাকেও হত্যা করেছিল। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার সব চেষ্টা করেছিল।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম