ঢাকা: ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা এক মামলায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে (২৭) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেন।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে জামিন পেলেও বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা।
তিনি জানান, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্টের একই বেঞ্চে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য গতকালের কার্যতালিকায় ছিল। তবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের নামে নাশকতা, ময়মনসিংহ নগরীর চড়পাড়া মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, বাসে আগুন এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে গত ১১ এপ্রিল ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৭) বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। দুই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী।
গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।