মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন— নৌবাহিনীকে রাষ্ট্রপতি
৪ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) কাপ্তাইয়ে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘শহীদ মোয়াজ্জমকে’ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি মর্যাদাশীল ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একইভাবে দেশ গঠন, উন্নয়ন ও যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি মানবপাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করছে নৌবাহিনী। সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে নৌবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
কোভিড মোকাবিলায় নৌবাহিনীর সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের শুভক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির অধিনায়কের হাতে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের পতাকা তুলে দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয় শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটি। এরপর থেকে এই ঘাঁটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন দুর্যোগে উদ্ধারকাজ, মানবিক সহায়তা এবং পাহাড়ি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি এই ঘাঁটি সেনা ও বিমানবাহিনীর জন্য স্বল্পমেয়াদী ফ্রগম্যানশিপ, স্কুবা ডাইভিং, ওয়াটারম্যানশিপ কোর্স পরিচালনা করছে। বাংলাদেশি নৌসদস্যদের পাশাপাশি নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, কাতার এবং কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তা ও নাবিকরা এই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম