মাত্র ৩ কার্যদিবসে মাদকের দুই মামলার রায়
৪ নভেম্বর ২০২১ ২০:৪৪
ঢাকা: এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলাসহ দুইটি মাদক মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
ঢাকার তৃতীয় অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. তোফাজ্জল হোসেন আদালত গত ১ নভেম্বর দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আদালত উভয় মামলায় আসামিদের দণ্ডিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বান্দরবান জেলার আলীকদমের বাসিন্দা মংখু মারমা (২৫) ও কক্সবাজার উখিয়ার বাসিন্দা মো. ফরিদ আলম (২০) এবং গাইবান্ধার পলাশ বাড়ীর বাসিন্দা মো. জাফর শেখ।
আসামিদের মধ্যে মংখু মারমাা পেট থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। যাকে আদালত ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। অর্থদণ্ড না দিলে তাকে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামি ফরিদের পেট থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। আদালত তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। অর্থদণ্ড না দিলে তাকে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মো. জাফর শেখের পকেট থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অপর মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। অর্থদণ্ড না দিলে তাকে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ অক্টোবর গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্টন থানাধীন মুক্তাঙ্গন পাবলিক টয়লেটের সামনে থেকে মংখু মারমা ও ফরিদ আলমকে গ্রেফতার করে।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আসামিদের মুক্তাঙ্গনে অবস্থিত পাবলিক টয়লেট করিয়র মংখু মারমার পেট থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফরিদ আলমের পেট থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। গত ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ করে ১ নভেম্বর যুক্তিতর্ক ও রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।
আরেক মামলায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালিস্থ পচা ডোর সেন্টার দোকানের সামনে থেকে জাফর শেখের পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মামুন মৃধা একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। গত ২৬ ও ৩১ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ করে ১ নভেম্বর যুক্তিতর্ক ও রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন আদালত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়— বর্তমান সময়ে মাদক একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে সমাজে দেখা দিয়েছে। মাদকের করাল গ্রাস জাতিকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়ে বহু যুবক বিপথগামী হচ্ছে এবং বহু পরিবার ধ্বংস হচ্ছে। তাই মাদক বহন ও বিক্রয় কাজে নিয়োজিত মর্মে প্রমাণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করার কোনো কারণ দেখা যায় না।
সারাবাংলা/এআই/একে