দক্ষিণ এশীয়দের শরীরে অতি বিপজ্জনক একটি জিন শনাক্ত
৫ নভেম্বর ২০২১ ১০:০০
দক্ষিণ এশীয়দের শরীরে অতি বিপজ্জনক একটি জিনের উপস্থিতি রয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ জিনটির কারণে ফুসফুস অকার্যকর বেশি হয়ে থাকে, যা মৃত্যুর কারণ হয়। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশীয়দের ৬০ শতাংশের শরীরে এ জিনের উপস্থিতি রয়েছে, ইউরোপীয়দের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ। গবেষকরা বলছেন, এ জিনটি ২ শতাংশ আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ানদের শরীরের এবং ১.৮ শতাংশ পূর্ব এশীয়দের শরীরে রয়েছে। এ জিনটির কারণে বেড়ে যাওয়া ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন।
কিছু গোষ্ঠীর মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন— এর কারণ জানতে দ্য ন্যাচার জেনেটিকস স্টাডি নামক ওই গবেষণাটি করা হয়। তবে এ গবেষণায় এ প্রশ্নের জবাব পুরোপুরি পাওয়া যায়নি বলেও মানছেন গবেষকরা।
পূর্বের জেনেটিক গবেষণার উপর ভিত্তি করে এবার গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নতুন আণবিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঝুঁকির জন্য দায়ী জিনটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ জিনটির নাম এলজেডটিএফএল-ওয়ান।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক জেমস ডেভিস এ ব্যাপারে বলেন, এই আবিষ্কারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এতে জানা গেল ঝুঁকিপূর্ণ জিন সব জনসংখ্যাকে সমানভাবে প্রভাবিত করে না। তবে এর বাইরেও অন্যান্য কারণ রয়েছে যা করোনার ঝুঁকি বাড়ায়। কিছু সম্প্রদায় কেন মহামারি দ্বারা বেশি আক্রান্ত তা জানতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক কারণও গুরুত্বপূর্ণ।
সারাবাংলা/আইই