আ.লীগের সম্প্রীতি সমাবেশে হাতাহাতি-উত্তেজনা
৫ নভেম্বর ২০২১ ২১:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের সম্প্রীতি সমাবেশে দু’গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সমাবেশের কার্যক্রম কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রীতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশ শুরুর আধাঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে স্লোগান দিতে দিতে অর্ধশতাধিক তরুণ-যুবক সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়। এর আগে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নামে স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে আসা নেতা-কর্মীরা সামনে যেতে চাইলে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
তখন বক্তব্য রাখছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও উত্তেজনার কারণে তিনি বক্তব্য বন্ধ করে দেন। এ সময় আ জ ম নাছির উদ্দীন মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত টেবিলের ওপর উঠে যান। তিনি সবাইকে পাল্টাপাল্টি স্লোগান বন্ধ করে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। প্রায় ১৫ মিনিট পর সমাবেশের কার্যক্রম আবার শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউই নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে স্থানীয় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। কেউ আহত হননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
শুধু সমাবেশে সম্প্রীতি নয়, অন্তরে পরিবর্তন আনতে হবে
এদিকে সম্প্রীতি সমাবেশে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ মান্নান, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত। এখানে সকল ধর্মাবলম্বীর সহাবস্থান আছে, থাকবে। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র ছিলেন, তখন চট্টগ্রাম মহানগরীতে সম্প্রীতি সুরক্ষিত ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছিল, তার ছিটেফোঁটাও চট্টগ্রামে ছিল না। সেদিন মহিউদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্বে লালদীঘির মাঠে আমরা সমাবেশ করেছিলাম। তবে শুধু সমাবেশ করে সম্প্রীতির কথা বললে হবে না, মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, উপ দফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য বেলাল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/আরডি/একেএম