Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিপ্লবের নামে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল জিয়া: আওয়ামী লীগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২১ ২১:৩৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এই মানুষটি বাংলাদেশের অনেক অঘটনের খলনায়ক। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলোকে নির্বাসন দিয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে ফিরিয়ে নিয়েছিল জিয়াউর রহমান।’

রোববার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস‘ উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা হয়েছে।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে সিপাহী বিপ্লবের নামে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ও রক্তারক্তির বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ইতিহাসের খলনায়ক, সবচেয়ে নিন্দিত ও জঘন্য চরিত্র। তার গড়া বিএনপি কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাই আমাদের এই অপশক্তি সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সুনীল কুমার সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, জোবাইরা নার্গিস খান, মোহাম্মদ হোসেন, জালাল উদ্দিন ইকবাল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান।

‘মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা দিবস’ পালনের আহ্বান
এদিকে সাত নভেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।

রোববার বিকেলে সংগঠনটির জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, ‘পচাঁত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অস্থিতিশীল সময়ে ৭ নভেম্বর জেনারেল জিয়া তথাকথিত সিপাহী জনতার বিপ্লবের নামে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেন। জেনারেল জিয়ার মৃত্যু পর্যন্ত এই নীলনকশার বাস্তবায়ন অব্যাহত ছিল। কলঙ্কিত সাতই নভেম্বরের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে সেদিনের প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরা আজ সময়ের দাবি। এছাড়া সাতই নভেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা উচিৎ।’

নগরীর দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সহ সভাপতি ফজল আহমদ। বক্তব্য রাখেন- সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, পলাশ বড়ুয়া, হাজী সেলিম রহমান, ফজলুল হক সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, দীপন দাশ, মুস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, সৈকত দাশগুপ্ত, ইসমে আজিম আসিফ, ভাষ্কর দেব, এস এম রাফি।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

আওয়ামী লীগ হত্যাযজ্ঞ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর