ঢাকা: ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরতের (রিফান্ড) বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরতের (রিফান্ড) বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৪ অক্টোবর ২২ গ্রাহক এ রিট করেছিলেন। ইভ্যালিতে অর্ডার করা এই ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা দুটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গেটওয়ে আটকা রয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশফাকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো.রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী আশফাকুর রহমান জানান, এই ২২ জন গ্রাহক সেপ্টেম্বর মাসে ইভ্যালিতে দুটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার করেন। পণ্য কিনতে এই ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৫ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। যা এখন গেটওয়েতে আটকে আছে।
তারা এখনও পণ্য পাননি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, ১০ দিনের মধ্যে পণ্য না দিলে অর্থ ফেরত দিতে হবে। তাই অর্থ ফেরতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়। আদালত এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেছেন।