Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানবপাচার রোধ প্রকল্পে বেতন নিয়ে অস্পষ্টতা

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপনডেন্ট
৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫২

ঢাকা: গ্লোবাল অ্যাকশন টু প্রিভেন্ট অ্যান্ড অ্যাড্রেস ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অ্যান্ড স্মাগলিং অব মাইগ্রান্টস বাংলাদেশ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বেতন প্রস্তাবনায় অস্পষ্টতা খুঁজে পেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

এখানে, কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ ৪৬ মাসে ছয় কোটি আট লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং এক জন আউটসোর্সিং স্টাফ বাবদ ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। তবে, স্টাফ এবং আউটসোর্সিং জনবল কত জন হবে এবং তাদের মাসিক পারিশ্রমিকের হার বিভাজন উল্লেখ করা হয়নি।

এমন অবস্থায় কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাবে (টিএপিপি) এসব বিষয় সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদের সভাপতিত্বে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, টিএপিপিতে স্টাফ তালিকা সংযুক্ত নেই। মোট স্টাফের সংখ্যা ১৪ জন উল্লেখ থাকলেও টিএপিপিতে অপর স্থানে ৪৬ জন উল্লেখ রয়েছে। এই বিষয়টি সংশোধনের জন্য সভায় আলোচনা হয়। এছাড়াও প্রশিক্ষণ ব্যয়, সেমিনার এবং কনফারেন্সের ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয় সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, পরামর্শকদের কর্মপরিধি, তাদের জনমাস এবং মাসিক সম্মানির হার টিএপিপিতে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, ২১ মাসের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের ৪৬ মাসের জন্য বেতন-ভাতা, অফিস-ভবন ভাড়া, গাড়ি ভাড়ার সংস্থান রাখার বিষয়টি টিএপিপিতে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে বলে মতামত দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পের অস্পষ্ট প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে স্টাফদের বেতন এবং আউটসোর্সিংয়ের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী যেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয় সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাব সংশোধিত হয়ে আসলে তারপর প্রকল্পটি বিবেচনায় আসবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০১১ সালের জুলাই ইউএনটিওসি এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাফিকিং ইন পার্সনস (টিআইপি) প্রটোকলে সম্মত হয়েছে। কিন্তু, এখনো স্মাগলিং অব মাইগ্রান্টস (এসওএম) প্রটোকল অনুমোদন করতে পারেনি। বাংলাদেশ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন (২০১২) আইনটি কার্যকরভাবে এবং যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য ২০১৭ সালে তিনটি রুলস তৈরি করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ রয়েছে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবপাচার মোকাবিলায় সরকারের প্রধান সংস্থা হিসাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আরও চার দেশের (ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলংকা) সঙ্গে ইউএনওডিসির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আঞ্চলিক কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেছে যার মধ্যে ব্যক্তি পাচার ও অভিবাসীদের পাচার মোকাবিলাও রয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/একেএম

প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি)


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর