গোডাউন থেকে কৃষি প্রণোদনার মালামাল বিক্রি, ২ কর্মকর্তা শোকজ
৮ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১৫
বরিশাল: ঝালকাঠির নলছিটিতে উপজেলা কৃষি অফিসের গোডাউনে মজুদ করে রাখা কৃষি প্রণোদনার মালামাল অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায়ের নির্দেশে মোকাদ্দম মো. ছালাম গাজী এ মালামাল বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কৃষি অফিসের গোডাউনে থাকা কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ, কয়েকটি ড্রাম, ৪-৫টি নেট জাল ও ৫-৬ সেট ফিতা পাইপ উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের এক কৃষকের কাছে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট অফিসের মোকাদ্দম মো. ছালাম গাজী। এসময় উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউন থেকে এসব মালামাল বিক্রির ঘটনা দেখে ফেলেন স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওইদিন দুপুরেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি ওই দু’জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। তবে কারণ দর্শানোর নোটিশে তিনি রহস্যজনক কারণে সার ও বীজ বিক্রির বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে অফিস প্রধানের অনুমতি ছাড়া অফিস চলাকালীন সময় ছাড়া আজিজ নামে কৃষককে ২টি নেট জাল, ১টি ড্রাম ও ২ সেট ফিতা পাইপ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। নোটিশে এ ঘটনায় ওই দু’জনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোকাদ্দম ছালাম গাজী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি অফিসের পাশে একটি ভবনে ভাড়া থাকি। ওইদিন ভোরে মোকাদ্দম ছালাম গাজী আমাকে গোডাউনের সামনে ডেকে নেন। তবে প্রণোদনার মালামাল ওই কৃষকের কাছে বিক্রি বা দেওয়ার ঘটনায় আমি জড়িত নই। অফিস প্রধানকে ওইদিনের ঘটনা না জানানোর কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। যথাসময়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেয়া হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি বলেন, ‘ওই দুই জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও