ঢাকা: জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও পণ্যবাহী যানবাহনের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পণ্যবাহী এসব যানবাহনের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠনসহ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইকে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করতে বলা হবে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টানা দুই ঘণ্টার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিকদের দাবি যৌক্তিক। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও এফবিসিসিআইকে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন থেকে পণ্য পরিবহন চলবে।
জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার পর থেকে ধর্মঘটরত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুস্তম আলীর নেতৃত্বে মালিক শ্রমিক নেতারা অংশ নেন।
ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিকদের দাবি ছিল— ডিজেল ও কেরোসিনে লিটার প্রতি যে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা; বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা সেতু) ও মুক্তারপুর সেতুতে বাড়ানো টোল প্রত্যাহার করা; এবং দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো পণ্য পরিবহন যানের ওপরে যে টোল নেয়, তা বন্ধ করা। এসব দাবিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর ঘোষণা দিয়ে ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের বাড়তি ভাড়া কার্যকর করা হলে ৫ নভেম্বর থেকে পণ্য পরিবহন স্থগিতের ঘোষণা দেন ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকরা। একই সময় থেকে বাস ও লঞ্চ মালিকরাও ধর্মঘট পালন করেন। গতকাল রোববার (৭ নভেম্বর) বাস ও লঞ্চে ভাড়া বাড়ানোর পর তারা বাস-লঞ্চের ধর্মঘট স্থগিত হলেও ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছিল। এ পরিস্থিতিতেই পণ্য পরিবহনে যুক্ত মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-
পণ্য পরিবহনে ধর্মঘট প্রত্যাহার হচ্ছে না