Friday 11 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-কমার্সে ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ নভেম্বর ২০২১ ২২:৪৫ | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২১ ২২:৫০

ঢাকা: করোনাকালে দেশের ই-কমার্স খাতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। বিভিন্ন কোম্পানিতে আরও বিনিয়োগ আসার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের ই-কমার্স খাতে যেন বিনিয়োগ আসে, সেজন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নেতিবাচক এক শতাংশ কোম্পানির জন্য পুরো ই-কমার্স খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। দেশের স্বার্থে খাতটি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণাও এড়িয়ে চলা উচিত।

সোমবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ই-ক্যাবের সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পক্ষে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, করোনাকালে দেশের ই-কমার্স খাতের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। বিনিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন কোম্পানিগুলো হলো— শপআপ, চালডাল, পেপারফ্লাই, ট্রাক লাগবে ও গো জায়ান। এছাড়া আরও বেশকিছু কোম্পানি বিনিয়োগ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।

খাতটির উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে দ্রুত মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। এস্ক্রো সিস্টেম ডিজিটাল করতে হবে। পেমেন্ট গেটওয়েতে ক্রেতাদের আটকে থাকা টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। তাদের প্রণোদনার আওতায় আনতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ পেতে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ই-কমার্স খাতকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের প্রসার ঘটাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের উত্তরে তমাল বলেন, আমরা এখন ই-কমার্সের সদস্যপদ খুব হিসাব করে দিচ্ছি। গত ২ বছরে আবেদন পাওয়ার পরও ২০০ কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে আটটি কোম্পানির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তাদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।’ অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভবিষ্যতে ফ্রড কাস্টমারও চিহ্নিত করা যাবে। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারাও ভুল তথ্য দিয়ে পণ্য কিনতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাব নেতারা জানান, ১ শতাংশ কোম্পানির জন্য পুরো খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। পেমেন্ট গেটওয়েতে যে অর্থগুলো আটকে আছে, তা দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থছাড় না হলে মার্চেন্ট ও ক্রেতা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

ই-কমার্স খাত ই-কমার্সে বিদেশি বিনিয়োগ ই-ক্যাব বিদেশি বিনিয়োগ

বিজ্ঞাপন

বদলে গেল পুলিশের লোগো
১১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৯

আরো

সম্পর্কিত খবর