সাংবাদিকতায় নারী নেতৃত্ব বাড়ছে
৭ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:১৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশে সাংবাদিকতায় নেতৃত্বে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এন্ড কমিউনিকেশনের (বিসিডিজেসি) করা সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শনিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডির এডওয়ার্ড এম. কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপে এসব তথ্য জানানে হয়। বিসিডিজেসি এবং ইন্সটিটিউট ফর কমিউনিকেশন স্টাডিজ (আইসিএস) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জরিপে অংশ নেয়া ১৭ জন শীর্ষ বেতনভোগী নারী সংবাদকর্মীর নাম প্রকাশ না করা হলেও এদের মধ্যে দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত আছেন ৫ জন। এ ছাড়া ডেইলি স্টার, ৭১ টিভি, নিউজ ২৪, ডিবিসি নিউজ, আমাদের অর্থনীতিতে ২ জন করে এবং এটিএন নিউজ ও চ্যানেল আইতে ১ জন করে সিনিয়র সাংবাদিক একই তালিকায় আছেন। জরিপ উপস্থাপন করেন আইসিএস এর নির্বাহী পরিচালক নাঈমা নার্গিস।
ওই জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে কর্মরত নারী সাংবাদিকদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন এক লাখ টাকার বেশি মাসিক বেতন পাচ্ছেন। এ দেশের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন আরো অন্তত ৫ জন। দ্বিতীয় ধাপে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন আরো অন্তত ৫ জন। এরপরের ধাপে কমবেশি ৯৯ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন অন্তত ৭জন। এই হার সরকারের প্রচলিত ওয়েজ বোর্ড বেতন কাঠামোর মধ্যেও উচ্চতর।
এরপর ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা: মিডিয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ এবং শীর্ষ বেতনভুক্ত নারী’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। এখানে বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের পাশপাশি বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্টেপ ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের রাজনীতি, প্রশাসন, পুলিশ, মিলিটারি, বিচার বিভাগসহ দৃশ্যমান অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা অংশগ্রহণ করছেন, সাফল্য দেখাচ্ছেন। কিন্তু নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের ব্যবধান এখনও কমেনি।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমেও নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের থেকে কম। একদিকে কেউ যখন উচ্চ বেতন পাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ে অনেক নারীই হয়তো সামান্য বেতনে কাজ করছেন। অনেক নারী এই পেশায় টিকে থাকতে সংগ্রাম করছেন কারণ অনেক সংবাদপত্র নিয়মিত বেতন পরিশোধ করছেন না।
স্বাগত বক্তব্যে বিসিডিজেসির প্রেসিডেন্ট নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, একদিকে মিডিয়াতে নারীদের কেউ কেউ উচ্চ বেতন পাচ্ছেন অন্যদিকে অনেকেই সামান্য বেতনে এ পেশায় টিকে থাকার সংগ্রাম করছেন। আবার অনেক সংবাদপত্র নিয়মিত বেতন পরিশোধ করছে না।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং টেলিভিশন চ্যানেলের কল্যাণে অংশগ্রহণের এই চিত্র একটু হলেও চোখে পড়ছে। কিন্তু সার্বিকভাবে গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ এখনও সন্তোষজনক নয়। নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে আরো অনেক কাজ করতে হবে। দেশে বিদেশে মানসম্মত প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
সারাবাংলা/জেজে/এমআইএস