‘নোয়াখালী-কুমিল্লা’ দ্বন্দ্বে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষ
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে। নোয়াখালী-কুমিল্লা গ্রুপ হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীদের দু’টি পক্ষ আঞ্চলিকতার বিরোধে এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে পুলিশ।
সোমবার (৮ নভেম্বর) গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. ফজলে রাব্বি, রাশেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহ, আশরাফুল ইসলাম আশিক, রাজীব হোসেন, অভিজিৎ দত্ত, পারভেজ হোসাইন, মাইদুল হাসান এবং বাপ্পারাজ তালুকদার।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা বেশি। এ নিয়ে অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের মনস্তাত্বিক বিরোধ আছে। নোয়াখালী-কুমিল্লা গ্রুপ নামে দু’টি পক্ষ সেখানে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে।
‘সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রাবাসের উপদেষ্টা কমিটি সেখানে পরিদর্শনে যায়। কমিটির সদস্যরা ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলায় ওঠার সময় নোয়াখালীর বাসিন্দা শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যান। তাদের দেখে কুমিল্লা গ্রুপ হিসেবে পরিচিত অন্যান্য জেলার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তবে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের হস্তক্ষেপে এসময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রাত দুইটার দিকে উভয়পক্ষ লোহার রড, লাঠি নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
ছাত্রাবাস থেকে বেশকিছু লোহার রড উদ্ধারের পাশাপাশি ১৩ জনকে আটক করা হয়। এদিকে আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতরা এবং আটক ১৩ জন সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বলে ওসি জানিয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস