ডাটা না থাকলেও চলবে ফেসবুক, ব্রাউজ করা যাবে ইন্টারনেটও
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৬:১০
ঢাকা: ইন্টারনেট ডাটা না থাকলেও এখন থেকে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যাবে। এমনকি ব্রাউজ করা যাবে ইন্টারনেটও। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে এই সেবার উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেবাটি উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিটিআরসি জানিয়েছে, টেক্সট ওয়ানলি ফেসবুক অ্যান্ড মেসেঞ্জার এই সেবার মাধ্যমে ডাটা শেষ হয়ে গেলেও অনলাইনে টেক্সটভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে। তবে এই সেবায় কোনো ছবি বা ভিডিও দেখা যাবে না। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও দরিদ্র জনগণ বিনামূল্যে এই সেবা পাবে। একইভাবে ডিসকভার নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রি ডাটা সীমার মধ্যে ই-সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। দিনে ১০ থেকে ২০ এমবি এবং মাসে ১৫০ এমবি পর্যন্ত ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্রাউজ করতে পারবেন এক জন গ্রাহক।
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, গ্রামীণফোন এই সেবা চালুর প্রস্তুতি শেষ করেছে। আজ থেকেই সেবাটি চালু হয়েছে। রবি আজিয়াটা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে এই সেবা চালু করবে। বাংলালিংক ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেবাটি চালু করতে পারবে। আর টেলিটক সেবাটি চালু করতে ফেসবুকের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি করোনার সময় মোবাইল সেবাদাতারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সম্মিলিতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কানেকটিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগণের তথ্য আদান প্রদান এবং কানেকটিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি সহায়তা করবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘করোনকালে টেলকোগুলো ফোরজির যে সম্প্রসারণ করেছে তা অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। জনগণের কাছে আমরা তাদের ভাষায় কথা বলতে চাই। বাংলায় এসএমএস চালু করেছে সব মোবাইল অপারেটর। ২৬ মার্চের আগে অপারেটরদের সব এসএমএস বাংলায় পাঠাতে হবে।’
ইন্টারনেটে না থাকলেও গ্রামীণফোন গ্রাহকরা যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে কানেক্টেড থাকতে পারেন, এজন্য মেটার সাথে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেছে গ্রামীণফোন। টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করে কানেক্টিভিটি ও অ্যাকসেসিবিলিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে এবং দেশের ডিজিটাল লক্ষ্যপূরণের যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ফেসবুক ইউজার বেসের প্রয়োজনীয়তা পূরণে একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাতেই মেটা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ– আজকের এই উন্মোচন।’
ডাটা ছাড়াই এই যুগে সবাই যেন তথ্য জানার সুযোগ পায়, সেজন্য একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং ফেসবুক ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম