‘নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার’
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৮:১৪
ঢাকা: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং খাবার হিসেবে গ্রহণের সু-অভ্যাস তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। জনসচেতনতা এই প্রচেষ্টাকে আরও সার্থক ও সফল করতে পারে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঢাকায় ইন্টার কন্টিনেন্টাল গ্রান্ড বলরুমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন।
তার বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হলেই একটি সুস্থ, সবল, কর্মঠ এবং মেধাবী জনগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয় নিরাপদ খাদ্য আইন—যা কার্যকর হয় পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
তিনি বলেন, দেশের আট বিভাগে ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য পরীক্ষা করে তা নিরাপদ কিনা তা জনগণকে অবিহিত করা সম্ভব হবে।
অচিরেই নারায়ণগঞ্জে জাইকার অর্থায়নে এশিয়ার বৃহৎ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে খাদ্যের মান নির্ণয় করে সনদ প্রদান সহজ হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য সচিব বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কাজটি ধাপে ধাপে এগোচ্ছে।ইতোমধ্যে সকল জেলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আট বিভাগীয় শহরে নিরাপদ খাবার টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।
সারাবাংলরা/জিএস/আইই