ক্ষমতা হারানোর পর দেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না: গয়েশ্বর
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৯:০৮
ঢাকা: ক্ষমতা হারানোর পর দেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিপ্লব ও সহংতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।
‘কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে, দেশে বিএনপি নামে কোনো রাজনৈতিক দল আর থাকবে না’— রোববার (৮ নভেম্বর) দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এমন এক বক্তব্যে জবাবে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে ভাবতে হবে না। সৎ সাহস থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তারপর দেখা যাবে বিএনপি থাকে, নাকি আওয়ামী লীগ থাকে।’
“একাত্তরে বিজয় অর্জনের পর গ্রামে গ্রামে লেখা থাকত— ‘এ গ্রামে রাজাকার নাই’। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো গ্রামে গ্রামে লেখা থাকবে— ‘এ গ্রামে আওয়ামী লীগ নাই।’ এটা লিখতে হবে নিরাপত্তার কারণে। ক্ষমতা হারানোর পর দেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না,”— বলেন গয়েশ্বচন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট সকালে দেশে আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা এখন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে যখন রেডিওতে খবরটা শুনি, তখন সারাদিন রাস্তা-ঘাটে কোনো আওয়ামী লীগ দেখি নাই। যাদের দেখেছি, তারা কেউ মাথায় গামছা বাঁধা, কেউ লুঙ্গি পরা, কেউ স্যান্ডো গেঞ্জি পরা। অর্থাৎ স্ব-চেহারায় কোনো আওয়ামী লীগারকে রাস্তায় দেখি নাই।’
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বরে যখন ঘটনা ঘটেছিল, তখনকার চেয়ে আজকের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ৭ নভেম্বরের ঘটনাটি দেশের জন্য ছিল অনিবার্য। সেদিন বিপ্লব ছিল সিপাহী-জনতার। আজকে সিপাহী দরকার নাই। এখন প্রয়োজন জনতার বিপ্লব। জনতার মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য বিপ্লবটা দরকার।’
এস কে সিনহার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা গ্রহণ করার কিছু নাই, নিন্দা করারও কিছু নেই। এস কে সিনহা যতক্ষণ সরকারের খায়েশ মেটাতে পারছেন, ততক্ষণ সরকারের কাছে ভালো ছিলেন। যখন সরকারের খায়েশ মেটাতে পারেননি, তখন সরকারের কাছে খারাপ হয়ে গেছেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো— প্রধান বিচারপতিকেও ১১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া যায়। তাহলে আজ যারা আদালতে আছেন তাদেরও যে ভবিষ্যতে এ রকম জায়গায় যেতে হবে না, তার তো কোনো নিশ্চয়তা নাই। সরকারকে সন্তুষ্ট করে যদি চাকরি রাখতে হয়, পরের সরকারকে সন্তুষ্ট রাখতে আবার জেলে যাওয়া লাগতে পারে।’
জাসাস সভাপতি হেলাল খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস