চাঁদপুরের সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিমকে হাইকোর্টে তলব
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২০
ঢাকা: চাঁদপুরের সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম, বর্তমান বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ নভেম্বর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলায় ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার ঘটনায় সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আসামি ফরহাদকে জামিন দিয়ে তার বয়স নির্ধারণের নির্দেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন রিমি নাহরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
কিশোর আসামির আইনজীবী রিমি নাহরিন জানান, গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করায় বিচারক মো. নূরে আলমের কাছে ব্যাখ্যা চান। আদালতের আদেশে বিচারক ব্যাখ্যা দাখিল করেন। আজ (মঙ্গলবার) কিশোর আসামি ফরহাদের জামিনে মেয়াদ বৃদ্ধির শুনানিকালে বিচারকের ব্যাখ্যা হাইকোর্টের নজরে আসে। তার ব্যাখ্যা আদালতের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। এ কারণে বিচারক নূরে আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ১৪ মার্চ চাঁদপুর আদালতের বিচারক নূরে আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার কিশোর আসামিকে জামিন দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দামি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে তার বন্ধু ও স্বজনরা হত্যা করেন। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট হত্যা করা হয়। মামলা করেন তার ভাই, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় ফরহাদ, মেহেদী ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। যার প্রত্যেকেই স্বীকার করেন, তারাই মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করেছেন।
এ মামলায় মূল আসামি ফরহাদ হাইকোর্টে জামিন নিতে আসেন। জামিন শুনানির সময় সেখানেই দেখা যায় ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত পুলিশি নির্যাতনের পরও জবানবন্দি রেকর্ড করায় ওই বিচারককে শোকজ করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস