মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বিক্রির অনুমতি পেল বেক্সিমকো-এসকেএফ
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪১
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির দেশেই উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে দুই ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি। আরও আটটি প্রতিষ্ঠান এ অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই কোম্পানিগুলোকেও মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। জানা গেছে, অনুমতি পাওয়া দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস এরই মধ্যে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বাজারজাত শুরুও করেছে।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্সিমকো মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) এসকেএফ ফার্মাকে ওষুধটি জরুরি বাজারজাতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির অনুমতি পেল দেশে
ডিজিডিএ আরও বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ১০টি প্রতিষ্ঠান মলনুপিরাভির উৎপাদনের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। আরও আটটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো হলো— স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মা, রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
ওষুধের ব্যবহারবিধি বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, এই ওষুধটি মুখে খাওয়ার জন্য। এটি পাঁচ দিনের ডোজ। সকালে চারটি আর রাতে চারটি ট্যাবলেট। পাঁচ দিনে মোট ৪০টি ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।
তিনি বলেন, ট্যাবলেটটি এরই মধ্যে বাজারে (বেক্সিমকোর) এসেছে। এটি ব্যবহার করতে পারলে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। আমাদের দেশেও হয়েছে। ফলাফলও আমরা ভালো পেয়েছি। মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি অর্ধেক কমাতে পারে এই ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।
তবে কোনোভাবেই ১৮ বছরের নিচে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক।
এর আগে সোমবার (৮ নভেম্বর) দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, এ ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর