তোশিবা ভেঙে ৩ কোম্পানি
৯ নভেম্বর ২০২১ ২৩:২১
টোকিওভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ ইলেকট্রনিক ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তোশিবা ভেঙে আলাদা তিনটি কোম্পানি করার ঘোষণা এসেছে।
তোশিবার এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ব্যবসা আলাদা করার পরিকল্পনা বিবেচনাধীন রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আরও কিছুদিন পর।
তোশিবার পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং বিতর্কিত এক ক্রয় প্রস্তাবনার পর ২০২৩ সালে বিশ্বখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে তিনটি আলাদা কোম্পানি করার সিদ্ধান্ত এসেছে বলে জানিয়েছে দ্য নিক্কে বিজনেস।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাদা এই তিন ইউনিট অবকাঠামো, যন্ত্রাংশ ও সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি চিপ উৎপাদন করবে। দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারেও তারা তালিকাভুক্ত হবে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) তোশিবা তাদের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, সেদিন মধ্যমেয়াদী ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও জানানো হবে। সেদিনই প্রতিষ্ঠানটির বিভক্ত হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে, তোশিবার মুখপাত্র তাতসুরো ওইসি এএফপিকে বলেন, করপোরেট মূল্য বাড়ানোর জন্য একটি মধ্যমেয়াদী ব্যবসায়িক পরিকল্পনার খসড়া করা হয়েছে। ব্যবসা আলাদা করার জন্য বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। কোনো সিদ্ধান্ত থাকলে দ্রুতই তা জানানো হবে।
চলতি বছর জুনে জাপানের পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বিজয় এবং তোশিবার শেয়ারহোল্ডাররা একাধিক কেলেঙ্কারি এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির পর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে ভোট দেয়। এই অভিযোগ তদন্তের আগে তোশিবা শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাভুটিতে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ এসেছে।
চলতি বছর এপ্রিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তোশিবা কিনে নেওয়ার প্রস্তাবনা আসার পর শেয়ারহোল্ডাররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। পরে জানা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তোশিবার প্রধান নির্বাহী নবুওয়াকি কুরুমাতানির সংযোগ রয়েছে। তুমুল বিতর্কের মধ্যে কুরুমাতানি এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, বিতর্কিত ক্রয় প্রস্তাবের সঙ্গে তার পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে খবর আসে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীসহ টারবাইন এবং জেনারেটর প্রস্তুতকারক বিশ্বখ্যাত জাপানি প্রতিষ্ঠান তোশিবা করপোরেশন আর্থিক সংকটে দেউলিয়া হতে যাচ্ছে।
তখন তোশিবা জানায়, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ব্যাপক পরিমাণ লোকসান দিচ্ছে তারা। ভর্তুকি দিতে গিয়ে তোশিবা করপোরেশন ২০১৬ সালে প্রথম তিন প্রান্তিকে বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছে। তোশিবার মূলধন ও সম্পদের চেয়ে দেনা বেড়েছে অনেক। এর পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ইয়েন। তোশিবার মোট সম্পদের যে দাম, তার চেয়ে দেনার পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ইয়েন বেশি।
সারাবাংলা/একেএম