ভ্যাটের অভিযান, প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টা শিপব্রেকিং কারখানা বন্ধ
১০ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে চারটি কারখানায় অভিযানের পর সকল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ)।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সকল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে একযোগে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুরে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ‘সংকটের সমাধান’ হলেও বিকেলে আর সেগুলো খোলা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিএসবিএ।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চারটি কারখানার প্রধান কার্যালয় ও কারখানার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়। এগুলো হচ্ছে— ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন, মাহিনুর শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এবং এস এন করপোরেশন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জাহাজভাঙা মালিকদের সংগঠন বিএসবিএ রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সবকটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড বন্ধের ঘোষণা দেয়। বুধবার সকাল থেকে সবগুলো কারখানা একযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে প্রায় দেড়’শ শিপব্রেকিং ইয়ার্ড আছে। এর মধ্যে সচল থাকা ৬০টি কারখানায় কর্মরত আছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।
এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা বিএসবিএ কার্যালয়ে যান। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বিএসবিএ কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
জানতে চাইলে বিএসবিএর সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা কিংবা কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে চারটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এভাবে আকস্মিক অভিযানের ফলে বিভিন্নধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সবার কাছে একধরনের ভুল মেসেজ গেছে। কারখানার মালিকরা হেয় হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে ভ্যাট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আজ (বুধবার) হাফ ডে-তে আর কারখানা খোলা হবে না। বৃহস্পতিবার সকালের শিফট থেকে সব কারখানা চালু হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/একে