রেইনট্রি ধর্ষণ মামলা: সাফাতসহ ৫ আসামি খালাস
১১ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫৮
ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত এই মামলাটি রায় ঘোষণা করেন।
প্রসিকিউশন থেকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আসামিদের খালাস দেন আদালত। মামলায় খালাসপ্রাপ্ত অপর চার আসামি হলেন- সাফাত আহমেদের তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার প্রথম তারিখ ঠিক করেন আদালত। এরপর প্রবীন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে নিম্ম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এজন্য এ মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১১ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ২ শিক্ষার্থী ধর্ষণ: সাফাতসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ
রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ ৫ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি
গত ৩ অক্টোবর আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরে ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/এনএস