‘দেশের ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি সংকটের তথ্য ভিত্তিহীন’
১১ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১৯
ঢাকা: বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে এবং অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রোল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে বলে যেসব বক্তব্য শোনা যাচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে জ্বালানি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) জ্বালানি বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দীনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত মূল্যে কোনো পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে নিলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রোলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের অধিক। তারপরও প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদানুযায়ী বিপিসির আমদানি পরিকল্পনা/আমদানি সূচি অনুযায়ী নভেম্বরে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডিসেম্বর ২০২১ মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টগুলোতে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে অরও সুসংহত করবে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম