Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সজাগ থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২১ ১৭:২৭

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে প্রযুক্তিবিদদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি একদিকে যেমন অবারিত সুযোগ উন্মোচন করেছে তেমনি এর অপব্যবহার এবং জালিয়াতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জেরও জন্ম দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) ২৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

দেশি বিদেশি প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে আইসিটি, দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার প্রতিপাদ্য নিয়ে ১১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ আয়োজন করছে। সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে ডব্লিউসিআইটি ২০২১ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়ে হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১।

তথ্যপ্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিনিময় ও হস্তান্তর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানিই যথেষ্ট নয় বরং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থানীয় টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রসার এবং ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’

বিজ্ঞাপন

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অগ্রগামী প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। এই বিশাল যুব সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। করোনাভাইরাস মহামারিকালে ডিজিটাইজেশনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার প্রমাণ আমরা পাই করোনা মহামারির দুঃসময়ে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সবচেয়ে নির্ভরশীল মাধ্যম হয়ে ওঠে তথ্যপ্রযুক্তি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রম, বিচারিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি হয়ে পড়ে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। কোভিড-১৯ মহামারিকালে তথ্যপ্রযুক্তির স্থানীয় বাজার অকল্পনীয় প্রসার লাভ করেছে। এই মহামারিকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেই দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ কোনো রকম অর্থব্যয় ছাড়াই ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করছে। এ প্লাটফর্মে নিবন্ধনের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাত কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বিসিএসের সভাপতি শহিদ-উল-মুনীর, নির্বাহী পরিচালক আব্দুল মান্নান, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) ইয়ানিস সিরোস।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর