Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ: দ্বিতীয় দিনেও সীমাহীন ভোগান্তি

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২১ ১৯:১৩

টঙ্গী (গাজীপুর): ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে তুরাগ নদীর ওপরের শতবর্ষী ব্রিজটির একাংশ ফুটো হয়ে ধসে পড়ায় বন্ধ রয়েছে মহাসড়কের একাংশের যান চলাচল। ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলার সংযোগ স্থল গাজীপুরের টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর সংযোগ সেতু। তুরাগ নদের উপর নির্মিত সেতুটি বুধবার ভোরে চারটার দিকে কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে এবং বৃহস্পতিবার সকালে সেই ভাঙা স্থানের অধিকাংশ জায়গা ভেঙে ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। সড়কের শুধুমাত্র একপাশ দিয়ে যান চলাচলের এবং মহাসড়ক ভেঙ্গে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজটে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে এই ব্রিজটি বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে কয়েক লাখ যাত্রী। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে সেতুর মাঝে কংক্রিট ভেঙ্গে যাওয়া তাৎক্ষণিক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বুধবার সকালে লোহার তৈরি স্টিলের পাত দিয়ে আংশিকভাবে যান চলাচল সচল করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার অধিকাংশ স্থান ভেঙে পড়ায় ঢাকামুখী যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কামারপাড়া সড়কের মুখে ঢাকামুখী লেন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা গাড়িগুলো মন্নুগেট এলাকা ঘুরে কামারপাড়া হয়ে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ ব্যবহার করে ঢাকায় ঢুকছে। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকামুখী লেন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিলেট মহাসড়ক থেকে আসা গাড়িগুলো স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া হয়ে ঢাকায় ঢুকছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও গাজীপুরে চলাচল করা যানবাহনগুলো তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। হঠাৎ করে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকেই না জেনে এই সড়ক ব্যবহার করে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার ভোরে টঙ্গী সেতুর একাংশ ফুটো হয়ে ধসে পড়ার পর লোহার পাটাতন দিয়ে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়। পরে বিআরটি কর্তৃপক্ষ সেতুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে গাজীপুর থেকে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করবে সেসব গাড়ি টঙ্গী মিলগেট এলাকা থেকে কামারপাড়া সড়ক হয়ে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ ব্যবহার করবে। অপরদিকে ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী গাড়িগুলো টঙ্গী বাজার এলাকায় তুরাগ নদীর ওপর স্থাপিত অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ ব্যবহার করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, সেতুটি সংস্কার কাজ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে বলে বিআরটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হঠাৎ করে সেতু বন্ধ হওয়ায় অনেকেই না জেনে এ পথ ব্যবহার করছে। মহাসড়কের পাশাপাশি টঙ্গীর প্রায় সকল শাখা রাস্তায় যানজট দেখা দেয়। যানজট নিরসনে দ্রুত নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (অংশ) প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান, সেতুটি কয়েক যুগ আগে তুরাগ নদের উপর নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাশাপাশি আরও একটি নতুন বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ সড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে।

সারাবাংলা/একেএম

টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর