কপ২৬ সম্মেলন শেষের দিকে, ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা
১৩ নভেম্বর ২০২১ ১৩:২৮
নির্ধারিত সময়ের পরও জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব মোকাবিলায় একটি নতুন খসড়া চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি বিশ্ব নেতারা। গতকাল শুক্রবার (১২ নভেম্বর) এই সময়সীমা অতিক্রম করে। আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে এই চুক্তি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের আয়োজনে এই জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৬) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বিবিসি।
চুক্তিতে থাকা শর্তগুলোর মধ্যে অন্যমত হলো- কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের জন্য ভর্তুকি দেওয়া এবং এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে হুমকির মুখে থাকা ছোট দ্বীপ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, তাদের ভূমি দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছাতে আলোচনার গতি বাড়াতে জোড় দেওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন কপ-২৬ সম্মেলনের সভাপতি অলোক শর্মা। তিনি বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত চলা সভার পরামর্শের ভিত্তিতে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে একটি সংশোধিত খসড়া চুক্তি প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
এরপর শনিবার বিকেলে শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন অলোক শর্মা।
বিজ্ঞানীরা জানান, প্রাক-শিল্প যুগের যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। বর্তমান তাপমাত্রা সেই স্তরে সীমাবদ্ধ করতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রভাব থেকে আমরা বিশ্বকে রক্ষা করতে পারব। এটি প্যারিস চুক্তির একটি মূল অংশ, যা বেশিরভাগ দেশ স্বাক্ষর করেছে।
তারা আরও বলেন, লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বনের বৈশ্বিক নির্গমণ ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে তা সামগ্রিকভাবে শূন্যে নামতে হবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ সেলসিয়াস বৃদ্ধির প্রভাবের একটি উদাহরণ হল কার্যত সমস্ত প্রবাল প্রাচীরের মৃত্যু।
শুক্রবারের প্রথম দিকে প্রকাশিত একটি খসড়া চুক্তিতে কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে অনেক পরিবেশকর্মী এটি সমালোচনা করলেও কিছু পর্যবেক্ষক জানান, এই ধরনের শর্ত জাতিসংঘের নথিতে এই প্রথমবারের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।
এদিকে আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে ভর্তুকি প্রদানের বিষয়ে বিরোধিতা করেছে। এমনকি কসড়া চুক্তি থেকে ওই শর্ত অপসারণেরও দাবি করেন। এই গ্রুপের মধ্যে চীন এবং সৌদি আরবও রয়েছে বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এনএস