আদালতে এসে কামরুন্নাহার জানলেন, তার বিচারিক ক্ষমতা নেই
১৪ নভেম্বর ২০২১ ১১:২১
ঢাকা: ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ক্ষমতা হারালেন রায় ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। আদালতে এসে জানলেন বিচার করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি।
প্রতিদিনের মতো রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালেও আদালতে এসেছিলেন কামরুন্নাহার। সকাল ৯টার আগেই আদালতে পৌঁছান তিনি। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগেই খাস কামরায় বসে জানতে পারেন, তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিচারিক ক্ষমতা হারালেন রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার বিচারক
রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তার বিচার ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে বনানীর রেইনট্রিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআই/এএম
ধর্ষণ মামলার রায় বিচারক কামরুন্নাহার রায়ের পর্যবেক্ষণ রেইনট্রি ধর্ষণ মামলা