Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাক্ষ্য দেবেন বাবা-চাচা, পেছাল মডেল তিন্নি হত্যার রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ নভেম্বর ২০২১ ১২:১৬

ঢাকা: মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়েছে। তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করীম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়েছে।

এর আগে মামলার বাদী মৃত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করীম আলোচিত ওই মামলায় আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি এখন পূর্ণাঙ্গ সাক্ষ্য শেষ করতে চান। এ ছাড়া তিন্নির মরদেহ শনাক্তকারী চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমও পূর্ণাঙ্গ সাক্ষ্য দিতে পারেননি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য দিতে আদালতে আবেদন করেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষী। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে রায় ঘোষণা পিছিয়েছেন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত ও মো. সলিম উল্লাহ (খসরু) এই তথ্য জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেন।

আজ সকালে মামলার বাদী তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করীম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম পুনরায় আদালতে জবানবন্দি দিতে আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেন।

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম জানান, তারা এই মামলায় সম্পূর্ণ বক্তব্য দিতে পারেননি। আগে রাষ্ট্রপক্ষ যারা মামলা পরিচালনা করতেন তারা যোগাযোগ না করায় অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তিন্নির রায়ের তারিখ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই খবর পেয়ে তাঁরা আদালতে এসে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

প্রায় দুই দশক আগে ফ্যাশন মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান গোলাম ফারুক অভি। কিন্তু সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অভি এই মডেলকে কখনোই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাননি। বরং বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ‘পরিকল্পিতভাবে’ তাঁকে খুন করে গাড়িতে করে মরদেহ চীন-মৈত্রী সেতুর নিচে ফেলে রাখেন। ১৯ বছর ধরে চলা এই মামলাটির একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. কাইয়ুম আলী সরদার। পরে মামলাটিকে ‘চাঞ্চল্যকর মামলা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি। সাতজন তদন্তকারী এ মামলার তদন্ত করেন। ৬ বছর পর ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর চার্জশিট দিয়েছিলেন সিআইডির এএসপি মোজাম্মেল হক। অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় এবং নাট্যকার এজাজ খান এই মামলার সাক্ষী ছিলেন।

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তনের ব্যাপারে তারা জানতেন না। আগের পিপি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারা পত্রিকায় খবর দেখে আদালতে এসেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর এক নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। পরে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়।

এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও এমপি গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এরপর চার্জশিটভূক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

সারাবাংলা/এআই/একেএম

গোলাম ফারুক অভি মডেল তিন্নি হত্যা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর