রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মিছিল করেছে কয়েক হাজার মানুষ। এমন আন্দোলন রাজতন্ত্র উচ্ছেদের পরোক্ষ হুমকি উল্লেখ করে আদালত হুঁশিয়ার করলেও; তা উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসে এমটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দাঙ্গা পুলিশের উপস্থিতিতেই বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে এগিয়ে যায়। তাদের হাতে হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে ‘নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র নয়’ এবং ‘সংস্কার বিলুপ্তি নয়’ লেখা ছিল।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজার ক্ষমতা বাড়ায় থাইল্যান্ড গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রে ফিরে যাচ্ছে। থাইল্যান্ড এমন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে শাসিত হবে যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এ লড়াই।
ওই বিবৃতি জার্মান দূতাবাসের সামনে পাঠ করা হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরেও বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে জার্মান দূতাবাসে গিয়েছিল। থাইল্যান্ডের রাজা মহাবাজিলংকর্ন অধিকাংশ সময়ই জার্মানিতে থাকেন।
এদিকে, এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞাকে ভেঙে দিয়েছে। দেশটির আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের অবমাননার দায়ে যে কারো সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ২০২০ সালে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই আইনের অধীনে অন্ততপক্ষে ১৫৭ জন শাস্তি পেয়েছেন।
২০২০ সালে সাবেক অভ্যুত্থান নেতা, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে (৬৬) অপসারণের দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে এই আন্দোলনটি দেশটির রাজতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত বলেছে, ২০২০ সালের আগস্টে আন্দোলনকারী তিন নেতার জানানো রাজতন্ত্র সংস্কারের আহ্বান অসাংবিধানিক এবং প্রতিষ্ঠানের পতন ঘটানোর ষড়যন্ত্র।
রোববার (১৪ নভেম্বর) মিছিল চলাকালে তিন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।