বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, ১৫ শয্যার ওয়ার্ডে ভর্তি ৭০ শিশু
১৫ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫৫
চুয়াডাঙ্গা: বৈরী আবহাওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গায় শিশুদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ঠান্ডা-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৭০টি শিশু। ফলে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও বেড না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতে ঠাঁই হচ্ছে শিশুদের।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও বহির্বিভাগে ঘুরে দেখা গেছে— কেবল শিশু ওয়ার্ড নয়, হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নিতে লম্বা লাইন ধরে শিশুদের নিয়ে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। অতিরিক্ত চাপের কারণে চিকিৎসাসহ সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা।
কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে গেলেও চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অনেকটাই উষ্ণ ছিল। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিন দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণেই শিশুদের মধ্যে ঠান্ডা-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।
সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, এই ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ৭০। তবে সেখানে শিশুদের জন্য শয্যা রয়েছে মাত্র ১৫টি। বাকি শিশুদের মেঝেতে তো বটেই, বারান্দাতেও থাকতে হচ্ছে। সেখানে কর্মরত নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা বলছেন, হঠাৎ করেই শিশু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা সেবা দিতে বিপাকে পড়ছেন। হাসপাতালটির বহির্বিভাগেও শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে বলে জানালেন তারা।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন সারাবাংলাকে বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। ওয়ার্ডে ও বহির্বিভাগে রোগী চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।
ডা. মিলন আরও বলেন, বৃষ্টি শেষ হলে আবার শিশুদের মধ্যে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই শিশুদের আরও বেশি যত্ন নিতে হবে এই সময়টিতে। শিশুরা অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সারাবাংলা/টিআর