Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তৃতীয় টার্মিনালে ৩৭ স্ক্যানার ও ৩০০ কর্মকর্তা চায় ঢাকা কাস্টম

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২১ ১০:২২

ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে উদ্বোধন করা হবে ২০২৩ সালের জুন। বলা হচ্ছে, এই টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হলে শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়েই বছরে ২ কোটি যাত্রী সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। যার ফলে যাত্রী সেবা বাড়বে প্রায় আড়াই গুণ।

তবে এতো মানুষের যাত্রী সেবা দিতে প্রয়োজন জনবল এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্ক্যানার মেশিন। তাই ঢাকা কাস্টম হাউস যাত্রী সেবার জন্য ৩৭টি স্ক্যানার মেশিন ও ৩ শতাধিক পদ সৃজন করে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান গত ৭ অক্টোবর এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত বিষয়ে অবগতও করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ঢাকা কাস্টম সূত্রে জানা যায়,চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) উপস্থিত ছিলেন। সেই আলোচনায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সম্প্রসারণ এবং প্রকল্পের নকশার ভিত্তিতে কাস্টম সংক্রান্ত অবকাঠামো নিয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পে সাধারণ নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য স্ক্যানার অন্তর্ভুক্ত করা হলেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে বর্হিগমন এবং আগমনী আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা এবং সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় স্ক্যানার ক্রয় অন্তর্ভুক্ত নেই। সুতরাং ঢাকা কাস্টম হাউস তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সূচনা লগ্ন থেকে (সম্ভাব্য অক্টোবর ২০২৩) সেবা দিতে প্রয়োজনীয় স্ক্যানার ক্রয় এবং স্থাপন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বাস্তবায়নাধীন নকশার আলোকে তৃতীয় টার্মিনালের আগমনী হলে চারটি রেড চ্যানেলে ১২টি চেকইন লাগেজ স্ক্যানার। দু’টি গ্রান চ্যানেলে ৪টি চেকইন লাগেজ স্ক্যানার। ১৬টি ব্যাগেজ বেল্টের সাথে স্বয়ংক্রিয় সিনক্রোনাইজড বিশেষাষিত স্ক্যানার ১৬টি এবং ভিআইপি আগমনী যাত্রীদের ব্যাগেজ পরীক্ষণে ১টি চেক ইন লাগেজ স্ক্যানারসহ এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এয়ারপোর্ট থেকে বর্হিগমন হলের প্রথম ও তৃতীয় তলার জন্য ২টি ব্যাগেজ স্ক্যানার স্থাপন প্রয়োজন। সবমিলিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে কাস্টমসের ৩৭টি স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন।

আর এসব সামগ্রী কিনতে প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের উপাদান থাকায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকল্প টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে স্ক্যানার ক্রয়ের বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন পরামর্শ দেবে।


শুধু তাই নয়, তৃতীয় টার্মিনালের অবকাঠামোর (লাগেজ বেল্ট সংখ্যা, রেড চ্যানেল, গ্রিন চ্যানেল ও অন্যান্য) সঙ্গে বিমানবন্দরের বিদ্যমান জনবল বৃদ্ধি করা আবশ্যক। ফলে স্বাভাবিক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউস ৩৭টি স্ক্যানিং মেশিন পরিচালনায় প্রতি শিফটে ২জন করে মোট ৭৪জন স্ক্যানিং কর্মকর্তাসহ যাত্রী সেবা দিতে শুল্ক করাদি নির্ণয়, ব্যাগেজ ঘোষণা গ্রহন, ব্যাগেজ পণ্য ইনভেন্টরিকরণ, বৈদেশিক মুদ্রার ঘোষণা গ্রহন, চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পন্নে প্রতি শিফটে নূন্যতম ১০০ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রয়োজন। এছাড়া প্রতি শিফটে ৫জন রাজস্ব কর্মকর্তা ও ২জন সহকারী বা উপ-কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা পদায়নে প্রয়োজন।

ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে এনবিআরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বিপরীতে ৩ শিফটের জন্য বর্তমান জনবলের অতিরিক্ত ৩০০ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, ১৫ জন রাজস্ব কর্মকর্তা, ৬জন সহকারী বা উপ-কমিশনার পদ সৃষ্টি করে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এনবিআর সদস্য (কাস্টমস: নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) জাকিয়া সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমার জানা নেই, তাই এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

সারাবাংলা/এসজে/এমও

ঢাকা কাস্টম তৃতীয় টার্মিনাল বিমানবন্দর

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর