ঢাকা: যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারে কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে দেশে আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপন, উন্নয়ন এবং কৃষিপণ্য রোগ-জীবাণুমুক্ত ও নিরাপদ রাখার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সনদ (ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট) দিতে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাজার রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলতেও কাজ চলছে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দেশটির ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি (এফএসএ) ও সরকারি গবেষণাগারের কর্মকর্তা এবং লন্ডন সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউকের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির চিফ সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক রবিন মে, ডেপুটি গভর্নমেন্ট কেমিস্ট সেলভারানি এলাহি, হেড অব ইইউ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি লিজ স্ট্রেটন, এফএসএ’র সায়েন্টিফিক স্যাম্পলিং ও ল্যাবরেটরি পলিসি লিডার ডেভিড ফ্র্যাংকলিন উপস্থিত ছিলেন। ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি ও সরকারি গবেষণাগারের এক্সপার্টরা এসময় সে দেশের ল্যাবস স্থাপন, পরিচালনা, টেস্টিং মানদণ্ড, রেগুলেটরি চাহিদা প্রভৃতি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
কৃষিমন্ত্রী এসময় বলেন, বাংলাদেশে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক ল্যাব স্থাপন ও গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেশন দেওয়ার জন্য কাজ করছি। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের নিজস্ব অর্থেই এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এসময় ইউকে প্রতিনিধিদল ল্যাব সিস্টেম উন্নয়নে ইউনিডো থেকে অনুদান পাওয়া যেতে পারে বলে জানান। ইউকে এআইডির চলমান ফান্ডিং সহায়তায় এ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, এটিও তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। এছাড়া, বাংলাদেশ ও ইউকের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এগ্রিমেন্টের বিষয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে ল্যাব ও ফাইটোস্যানিটারি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানান।
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পান রফতানির নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও যুক্তরাজ্যে তা এখনো বহাল রয়েছে। এ বিষয়ে ইউকে প্রতিনিধিদল জানায়, ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে একটি বিল বিবেচনাধীন আছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে পান রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই।