Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা বাতিলে ৪ জানুয়ারি মধ্যে প্রতিবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩৪

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: সাক্ষ্য আইনের বিদ্যমান দুটি ধারা বাতিলের বিষয়ে শুনানি আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) এবং ১৪৬ (৩) ধারা সংশোধনের বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলফনামা আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) তিনটি সংগঠনের পক্ষে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

বিজ্ঞাপন

শুনানি শেষে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেছিলাম। কারণ হলো এই দুটি ধারা নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে ধারা দুটি সংশোধনের বিষয়ে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এই আইনটির একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। তা হলো- ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছে। এই বিদ্রোহ শেষ হয়েছে ১৮৫৯ সালে। এরপর ১৮৬০ সালে পেনাল কোড হয়েছে। ১৮৬১ সালে হয়েছে পুলিশ রেগুলেশন অ্যাক্ট। আর ১৮৭২ সালে হয়েছে সাক্ষ্য আইন। এসব আইন কোনোদিনই জনগণের স্বার্থে করা হয়নি। মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে এসব আইন করা হয়েছে। সেই আইন বৃটিশদের আমলে আমরা চাইনি, পাকিস্তান আমলেও আমরা চাইনি আর বাংলাদেশ আমলে তা থাকতে পারে না। যেখানে এই আইনের ওপর হয়েছে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় এই আইন থাকতে পারে না।’

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৫৫(৪) ধারা সংশোধনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই সংশোধনী সংসদে পাস হবে বলে আশা করছি।’

এরপর আদালত তখন সাক্ষ্য আইনের ১৪৬(৩) ধারা সংশোধনের বিষয়েও ৪ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

দুটি ধারা বাতিল সাক্ষ্য আইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর