অসুস্থ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া-মাহফিল
১৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:০২
ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ দোয়া-মাহফিল হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, আব্দুল্লাহ আলন নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এর আগে, সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে মিলাম-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত ওই মিলাদ-মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনবির (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরার মাত্র ছয় দিনের মাথায় তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। এর আগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ বছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা’য় রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে তার পরিবার। কিন্তু সরকার সেই আবেদন আমলে নেয়নি। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য হলো, ‘সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে। বিদেশে যেতে হলে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম