বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে দেশেও কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১৭ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৪৭
ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম বাড়তি এমন কারণ উল্লেখ করে গত ৪ নভেম্বর থেকে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে গত কিছু দিন ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়তে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে দাম কমার একটা প্রবণতা দেখা গেছে। যদি কমার এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে নতুন করে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে গেলে বাংলাদেশেও কমানো হবে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেল, চিন, পেঁয়াজ ও ডাল এগুলো সবই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে হয়।আন্তর্জাতিক বাজারে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমে তাহলে আমরা কমাব কিভাবে? তবে আমরা টিসিবির মাধ্যমে তৃণমূল মানুষকে ন্যায্য দামে পণ্য দিতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ, চিনির ওপর ভ্যাট কমেছে। তেলে এখনো কমেনি। তেলে অন্য কোনোকিছু নেই, ভ্যাট ও ট্যাক্স ছিল সেটা কমানোর জন্যও বলেছি। তবে সরকারের রাজস্বও দরকার আছে। সব জায়গায় ব্যালেন্স করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে আপাতত তিন-চার মাসের জন্য ভ্যাট কমানো হলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দামটা এখন এতো বেশি না, এক-দেড় মাসের মাথায় আরও কমে ৪০ টাকায় চলে আসবে। বর্তমানে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আমদানি যদি ঠিক থাকে ও ভারত যদি রফতানি বন্ধ না করে তাহলে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। আর মুড়িকাটা পেঁয়াজও আগামী মাসে উঠবে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করছি না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। বাণিজ্য সংক্রান্ত নিদিষ্ট কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে জিএসপি ও জিএসপি প্লাসসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, আমরা জিএসপি ও জিএসপি প্লাস নিয়ে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ যারা যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে তারা রাজি আছে। এছাড়া জিএসপি প্লাস আমরা ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাব বলে আশা করছি। তবে আমাদের প্রত্যাশা আরও একটু বেশি।
সারাবাংলা/জিএস/আইই