সিলেট: বাসের আরোহী এক নারী শিক্ষার্থীকে জোর করে পর্নোভিডিও দেখিয়ে হয়রানির ঘটনায় মো. মাহবুবুর রহমানকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন মৌলভীবাজারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরে, হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সিলেটের শেরপুরের একটি বাসের ভেতরে হট্টগোল শুনতে পায় হাইওয়ে পুলিশ। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট শিবলু মিয়া সেখানে যান। গাড়ির চালক ও সুপারভাইজার জানান, এক পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে এক নারী যাত্রীর (শাবি শিক্ষার্থী) মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। গাড়িতে থাকা পুরুষ যাত্রী শেরপুরে নামতে চাইলে নারী যাত্রীটি পুরুষ যাত্রীকে নামতে না দিয়ে তাকে সিলেটে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। নারী যাত্রী জানান- তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আছে। তাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের এসপি’র নির্দেশক্রমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আসামীকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. নবীর হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে সুনামগঞ্জগামী সৌদিয়া পরিবহনের বি-৪ সিটে বসা যাত্রী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার মো. আব্দুর রউফের ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান তার পেছনের ই-৪ সিটে বসা এক নারী শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরক্ত এবং মেয়েটির দিকে বার বার তাকিয়ে বিভিন্নভাবে খারাপ অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করছিল। পরে ওই শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদ উল্লাহ্ বলেন, মহাসড়কে সব ধরনের হয়রানি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে।