Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

’১৫ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় পেলে আড়াই কোটি হিন্দু কেন থাকতে পারবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৩৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব উপলক্ষে চট্টগ্রামে চার দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে নগরীর জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান আগামী রোববার (২১ নভেম্বর) শেষ হবে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকে যদি প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিতে পারেন, তাহলে আড়াই কোটি হিন্দু কেন নিজ দেশে তাদের অধিকার নিয়ে থাকতে পারবে না?’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে চারদিনের কর্মসূচির মধ্যে আছে— সাধু ও বৈষ্ণবদের সংবর্ধনা, রাষ্ট্রীয় অতিথিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা প্রদর্শনী, ষোড়শ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। এছাড়া করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য সমবেত প্রার্থনা করা হবে। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘুদের মঠ-মন্দির, দেবালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। নিরীহ সনাতনীদের হত্যা করা হচ্ছে, মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমরা চাই— প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, কিন্তু কোনো নিরীহ ও নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অভিযুক্ত না হয়।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ত মঠ-মন্দির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনঃনির্মাণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর বিবৃতি অবিলম্বে প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে।

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস, পরিষদ কর্মকর্তা চন্দন তালুকদার, সাধন ধর, পরেশ চৌধুরী, আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, আশুতোষ দাশ, তপন কান্তি দাশ, তাপস কুমার নন্দী, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

কোরআন অবমাননা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর