মরিয়মের মৃত্যু: বাসের চালক-সহকারীর দোষ স্বীকার
১৭ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪৬
ঢাকা : রাজধানীর ভাটারার প্রগতি সরণিতে বাস থেকে ফেলে মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রতিবন্ধী মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার রাইদা পরিবহনের গাড়িচালক মো রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেনের আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামি রাজু মিয়ার এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ইমরান হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, দুইদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) হাসান পারভেজ।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এ দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর ভোরে বাসা থেকে বের হয় মরিয়ম। এরপর প্রগতি সরণিতে ফুটপাতে ময়লার স্তূপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মরিয়ম আক্তার ফুল বিক্রি করতো এবং হাতে আবেদনসংবলিত কাগজ নিয়ে পথচারী ও বাসযাত্রীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতো। খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত মরিয়ম।
প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য পেয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন তার বাবা প্রাইভেটকার চালক রনি মিয়া।
গত ১২ নভেম্বর রাতে র্যাব টঙ্গী থেকে রাইদা পরিবহনের ওই বাসের চালক রাজু মিয়াকে (২৫) এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে হেলপার ইমরান হোসেনকে (৩৩) গ্রেফতার করে।
সারাবাংলা/এআই/একে