সরকারি চিকিৎসা নিয়েও একেকজন ডেঙ্গু রোগীর খরচ ২২৩৭৯ টাকা
১৭ নভেম্বর ২০২১ ২১:৪৭
ঢাকা: ২০১৯ সালে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসা নিয়েও একেকজন ডেঙ্গু রোগীকে খরচ করতে হয়েছে ২২ হাজার ৩৭৯ টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে এ ক্ষেত্রে খরচ পড়েছে ৪৭ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। চিকিৎসকের ফি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ, যাতায়াত এবং হাসপাতাল বিলের পেছনে এই টাকা খরচ করতে হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দরিদ্র পরিবারগুলোকে তাদের খানার (পরিবারের) মোট আয়ের ১৩৯ শতাংশ পর্যন্ত ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করতে হয়েছিল। ফলে তাদের সঞ্চয় যেমন ভাঙতে হয়েছে, তেমনি কাউকে কাউকে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে নিতে হয়েছে ঋণ। কেউ কেউ সম্পদ বিক্রি করতেও বাধ্য হয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) ভার্চুয়ল এক অনুষ্ঠানে ‘ঢাকায় ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর সংক্রমণ এবং এর আর্থিক ব্যয়ভার’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির রিসার্চ ফেলো ড. আব্দুর রাজ্জাক সরকার।
মূল প্রবন্ধে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ১ হাজার ১৭৬টি খানায় (পরিবার) জরিপ চালানো হয়। জরিপে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে ঢাকার অধিবাসীদের শতকরা ১ দশমিক ৮৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব ছিল বেশি।
বিআইডিএসের জরিপ বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ অধিবাসী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই হার ছিল ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু সংক্রমণের হার সবেচেয়ে বেশি ছিল ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে। এছাড়া যারা মশারি ব্যবহার করতেন না, এবং যেসব পরিবারে বাগান ও আশপাশে বর্জ্য ছিল, সেসব পরিবারের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ছিল বেশি।
গবেষণার তথ্য আরও বলছে, খোলা পানির পাত্র বা টায়ার বা টিউব রাখা ছিল কিংবা নিয়মিত ফ্রিজের ট্রে’র পানি পরিষ্কার করা হয়নি— এমন পরিবারে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি ছিল। এছাড়া যারা নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যায় পার্কে যেতেন বা হাঁটতেন, তাদের মধ্যেও ডেঙ্গু সংক্রমণের পরিমাণ ছিল বেশি।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর
ডেঙ্গু আক্রান্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণা বিআইডিএস