Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভ্যাকসিনে অর্থ খরচের হিসাব সংসদে প্রকাশ করা সমীচীন হবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেট
১৮ নভেম্বর ২০২১ ১৪:০৮

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক দামে সততা ও স্বচ্ছতার নিশ্চিত করেই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান কত সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে কত টাকা খরচ হয়েছে?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে সাত কোটি ৭০ লাখ ডোজ সিনোফার্ম, সাত কোটি ৫১ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক, ভারত থেকে তিন কোটি কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষেই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

এর আগে, ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়- এক কোটি এক লাখ ৫০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে (ওই সময় পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ তিন হাজার টাকা হিসেবে মোট তিন হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিনের সংস্থান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত (১৩ নভেম্বর) আট কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৪ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার ১৯০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুষ্টিহীনতা বিষয়ে সর্বজনীন (সব বয়সের) মানুষের নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে এক্ষেত্রে সাফল্য রয়েছে। বিডিএইচএস-এর পরিসংখ্যান মতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খর্বাকৃতির হার এসডিজি (২০৩০) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও ২০১৭-১৮ সালে তা ৩১ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৪৩ শতাংশ। কৃশকায় পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও তা রয়েছে আট শতাংশ; যা ছিল ১৭ শতাংশ। কম ওজনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা রয়েছে। ২০০১৮-১৯ সালে ছিল ২২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৪১ শতাংশ। অতি ওজন ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৭-১৮ সালে ২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের অপুষ্টিজনিত কম ওজন ২০১৭-১৮ সালে ১২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৩০ শতাংশ। অতি ওজন ৩২ শতাংশ; যা ছিল ১২ শতাংশ। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের কম ওজনের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি অতি ওজনের হার বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর